আপনি বাংলাদেশে বসে আমেরিকায় থাকা বন্ধুর সাথে ভিডিও কলে এমনভাবে গল্প করছেন যেন সে পাশের ঘরেই আছে! আবার, জার্মানির কোনো কোম্পানি তাদের ডিজাইন করিয়ে নিচ্ছে ঢাকার কোনো ফ্রিল্যান্সারকে দিয়ে। এই যে দূরত্বকে পাত্তা না দিয়ে পুরো পৃথিবীটা একটা গ্রামের মতো হয়ে গেছে, এটাই হলো গ্লোবাল ভিলেজ বা বিশ্বগ্রাম।
আজকের এই পোস্টে আমরা ঠিক এই জিনিসটাই সহজ করে বোঝার চেষ্টা করব। গ্লোবাল ভিলেজ বা বিশ্বগ্রাম কি, এর কী কী সুবিধা-অসুবিধা আছে, আর আমাদের জীবনেই বা এর প্রভাব কতটা! চলুন, বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।
বিশ্বগ্রাম কি

গ্লোবাল ভিলেজ বা বিশ্বগ্রাম হলো এমন একটা ধারণা, যেখানে ইন্টারনেট আর টেকনোলজির কারণে পুরো পৃথিবীর মানুষ একটা সমাজের বাসিন্দা হয়ে যায়। এখানে দেশ বা সীমান্তের কোনো বাধা মানুষের যোগাযোগের পথে আসতে পারে না। গ্রামের মানুষ যেমন একে অপরের খোঁজখবর রাখে, যেকোনো প্রয়োজনে কথা বলতে পারে, আমরাও এখন ইন্টারনেট আর আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে ঠিক সেভাবেই সবার সাথে যোগাযোগ করতে পারছি।
এই দারুণ আইডিয়াটা প্রথম দিয়েছিলেন কানাডার একজন লেখক ও দার্শনিক, মার্শাল ম্যাকলুহান। আজ থেকে প্রায় ৬০ বছর আগে, ১৯৬২-৬৪ সালের দিকে তিনি তার বইয়ে লিখেছিলেন যে, একদিন ইলেকট্রনিক মিডিয়া (যেমন টেলিভিশন, রেডিও) আর প্রযুক্তি পৃথিবীকে এত ছোট করে ফেলবে যে এটা একটা গ্রামের মতো হয়ে যাবে। তখন তার কথাটা ছিল ভবিষ্যতের কল্পনা, কিন্তু আজ এটাই সত্যি!
ইন্টারনেট, স্মার্টফোন, কম্পিউটার আর ফেসবুক-হোয়াটসঅ্যাপের মতো সোশ্যাল মিডিয়ার কারণে আমরা এখন সেই বিশ্বগ্রামেরই বাসিন্দা। পৃথিবীর যেকোনো কোণায় থাকা মানুষের সাথে আমরা যেকোনো মুহূর্তে কথা বলতে পারি, তথ্য আদান-প্রদান করতে পারি, পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তের খোঁজ-খবর নিতে পারি।
কী কী জিনিস দিয়ে এই বিশ্বগ্রাম তৈরি
একটা সাধারণ গ্রাম যেমন মানুষ, বাড়ি, রাস্তাঘাট দিয়ে তৈরি হয়, তেমনি এই ডিজিটাল বা বিশ্বগ্রামও কিছু জিনিসের উপর নির্ভর করে চলে। এগুলো ছাড়া বিশ্বগ্রামের কথা ভাবাই যায় না। কী কী জিনিস দিয়ে বিশ্বগ্রাম তৈরি তা নিচে আরও বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
যন্ত্রপাতি
বিশ্বগ্রামের প্রথম ভিত্তিই হলো হার্ডওয়্যার। আমাদের হাতে থাকা স্মার্টফোন, ল্যাপটপ, কম্পিউটার, ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়ার মডেম বা রাউটার—এই সবকিছুই হলো হার্ডওয়্যার। এসব যন্ত্র ছাড়া আমরা বিশ্বগ্রামে প্রবেশ করতে পারবো না। প্রতিনিয়ত নতুন নতুন যন্ত্রপাতি আবিষ্কার হচ্ছে বিশ্বগ্রামকে আরও বেশি মানুষের কাছে ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষ্যে।
অ্যাপস ও সফটওয়্যার
হার্ডওয়্যার বা যন্ত্রকে চালানোর জন্য সফটওয়্যার লাগে। কম্পিউটারের উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম, ফোনের অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম বা আইওএস অপারেটিং সিস্টেম, ইন্টারনেট ব্যবহার করার জন্য গুগল ক্রোম এবং কথা বলার জন্য হোয়াটসঅ্যাপ বা স্কাইপের মতো সফটওয়্যারগুলোই আমাদের সব কাজ করতে সাহায্য করে। এছাড়াও, যোগাযোগ করার জন্য আরও অনেক নতুন নতুন অ্যাপ তৈরি হচ্ছে যা বিশ্বগ্রামের উন্নতিকে আরও ত্বরান্বিত করছে।
ইন্টারনেট
বিশ্বগ্রামের আসল প্রাণ হলো ইন্টারনেট। ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়া এই গ্রামের অস্তিত্বই নেই। এই ইন্টারনেটই পৃথিবীর এক প্রান্তের কম্পিউটার বা মোবাইলকে অন্য প্রান্তের সাথে যুক্ত করে একটা বিশাল নেটওয়ার্ক তৈরি করেছে। ইন্টারনেট ব্যবহার করে হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার এর সাহায্যে আমরা পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যোগাযোগ করতে পারছি।
ডেটা বা তথ্য
এই গ্রামে আমরা যা কিছু আদান-প্রদান করি—লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও—সবই হলো ডেটা। এই ডেটা বা তথ্য শেয়ার করার জন্যই বিশ্বগ্রাম এত জনপ্রিয় ও প্রয়োজনীয়। বিশ্বগ্রামের কারণে আমরা যেকোনো তথ্য, ছবি বা ভিডিও, অডিও সহ গুরুত্বপূর্ণ ফাইল মুহূর্তের মাঝে পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে প্রেরণ করতে পারছি। ফলে যোগাযোগ বা তথ্য প্রেরণের ক্ষেত্রে পূর্বের মতো সময়ের বাঁধা থাকছে না।
ব্যবহার করার ক্ষমতা
উপরের সবকিছু থাকার পরেও যদি মানুষ সেগুলো ব্যবহার করতে না পারে, তাহলে কোনো লাভ নেই। প্রযুক্তি ব্যবহার করার জন্য মানুষের জ্ঞান ও দক্ষতা থাকাটা খুব জরুরি। মানুষের দক্ষতাই পারে টেকনোলজিকে সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে বিশ্বগ্রামকে আরও সুন্দর করতে।
বিশ্বগ্রামের সুবিধা
গ্লোবাল ভিলেজের ধারণাটা আমাদের জীবনকে পুরোপুরি বদলে দিয়েছে। এর অনেক সুবিধা আমাদের প্রতিদিনের কাজকে সহজ করে দিয়েছে আর নতুন নতুন সুযোগ তৈরি করেছে। ইন্টারনেট আবিষ্কার হওয়ার পর থেকে আমরা বিশ্বগ্রামের সুবিধা পাওয়া শুরু করেছি। এমন কিছু সুবিধা নিচে আলোচনা করা হয়েছে।
সহজ ও দ্রুত যোগাযোগ

গ্লোবাল ভিলেজের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো যোগাযোগ। এখন আমরা পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে থাকা প্রিয়জনের সাথে সাথে সাথে ভিডিও কলে কথা বলতে পারি। ই-মেইল বা মেসেঞ্জারে যেকোনো খবর মুহূর্তে পাঠিয়ে দেওয়া যায়। সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে বন্ধু বা পরিবারের খবর নেয়া যায় আরও সহজে। ম্যাসেজ আদান-প্রদান করার পাশাপাশি ছবি-ভিডিও-অডিও শেয়ার করা যায় মুহূর্তেই।
ঘরে বসে পড়াশোনা
বিশ্বগ্রামের কারণে পড়াশোনা এখন আর ক্লাসরুমের মধ্যে আটকে নেই। ঘরে বসেই বিশ্বের সেরা সব বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন কোর্স করা যায়, যাকে আমরা ই-লার্নিং বলি। ইউটিউব বা বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে যেকোনো বিষয়ে জ্ঞান পাওয়া এখন অনেক সহজ। জুম, গুগল মিট সহ বিভিন্ন অ্যাপ ব্যবহার করে ঘরে বসে অনলাইন ক্লাস করা যায়। ফ্রিতেই যেকোনো রিসোর্স পাওয়া যাচ্ছে হাতের নাগালে।
আরো পড়ুন:
- ছাত্র জীবনে টাকা আয় করার উপায়
- সরকারি ভাবে ইউরোপ যাওয়ার উপায়
- ব্যবস্থাপনা কাকে বলে? ব্যবস্থাপনা কত প্রকার ও কি কি
উন্নত চিকিৎসা সেবা
টেলিমেডিসিন বিশ্বগ্রামের আরেকটি দারুণ সুবিধা। এর মাধ্যমে গ্রামের রোগীরাও শহরের বড় ডাক্তারদের পরামর্শ নিতে পারছেন। এমনকি ভিডিও কলের মাধ্যমে বিদেশের বড় ডাক্তারদের থেকে সেবা নেয়া যাচ্ছে। আমাদের দেশেও বিভিন্ন অ্যাপ বর্তমানে ঘরে বসেই ডাক্তারের সেবা নেয়ার মাধ্যম চালু করেছে। টেলিমেডিসিনের পাশাপাশি এখন পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে রোবটের মাধ্যমে অপারেশন করা সম্ভব হচ্ছে গ্লোবাল ভিলেজের কারণে।
ব্যবসার নতুন মাধ্যম

বিশ্বগ্রামের কারণে ব্যবসা-বাণিজ্য এখন আর কোনো দেশের সীমান্তে আটকে নেই। ই-কমার্সের মাধ্যমে আমরা ঘরে বসেই যেকোনো দেশের জিনিস কিনতে বা বেচতে পারছি। ফ্রিল্যান্সিং করে আমাদের দেশের তরুণ-তরুণীরা বিদেশি কোম্পানিতে কাজ করে ডলার আয় করছে। ড্রপ-শিপিং সহ বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করে ব্যবসা করা সম্ভব হচ্ছে। ঘরে বসে সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে যেকোনো পণ্য বা সেবা বিক্রয় করা যাচ্ছে। বিসবগ্রামের কারণে ব্যবসার ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যুক্ত হয়েছে যা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে।
সংস্কৃতির আদান-প্রদান

গ্লোবাল ভিলেজের কারণে এখন আমরা খুব সহজেই অন্য দেশের সিনেমা, গান, খাবার ও ঐতিহ্য সম্পর্কে জানতে পারছি। এর ফলে একে অপরের প্রতি আমাদের ধারণা ও সম্মান বাড়ছে, যা পুরো পৃথিবীর মানুষের মধ্যে একটা ভালো সম্পর্ক তৈরি করতে সাহায্য করছে। যেকোনো দেশে ভ্রমণের পূর্বে উক্ত দেশের সংস্কৃতি বা ইতিহাস সম্পর্কে জেনে নেয়া সম্ভব হচ্ছে। কোনো দেশে ভ্রমণ না করেও উক্ত দেশের সৌন্দর্য দেখার সুযোগ হচ্ছে।
বিশ্বগ্রামের অসুবিধা
সবকিছুরই একটা খারাপ দিক থাকে। বিশ্বগ্রামের অসংখ্য সুবিধার পাশাপাশি কিছু সমস্যাও আছে। বিশ্বগ্রামের অসুবিধাগুলো কী কী এবং কিভাবে সেগুলো আমাদের জীবনকে প্রভাবিত করতে পারে তা নিচে আরও বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। চলুন, জেনে নেয়া যাক।
অনলাইন ক্রাইম
ইন্টারনেট ব্যবহার বাড়ার সাথে সাথে হ্যাকিং, অনলাইন প্রতারণা, ফিশিং এবং সাইবার বুলিংয়ের মতো অপরাধও বাড়ছে। ব্যক্তিগত তথ্য বা ব্যাংক একাউন্ট হ্যাক হওয়া, কিংবা ফেসবুকে ভুয়া খবর ছড়িয়ে পড়ার মতো ঘটনা প্রতিনিয়তই ঘটে চলেছে। গ্লোবাল ভিলেজ সম্পর্কে জ্ঞান কম থাকার কারণে অনেকেই এসব ক্রাইমে ভিক্টিম হচ্ছে। অনলাইন ক্রাইম সম্পর্কে না জানার কারণে অনেকের ব্যক্তিগত তথ্য এমনকি অর্থ চুরি হচ্ছে।
ভুল তথ্যের ছড়াছড়ি

ইন্টারনেটে এত বেশি তথ্য যে, অনেক সময় কোনটা আসল আর কোনটা ভুয়া, তা বোঝা কঠিন হয়ে যায়। ফেক নিউজ বা গুজব খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে, যা সমাজে অনেক সমস্যা তৈরি করে। ভুল তথ্যের কারণে ব্যক্তিগত, পারিবারিক এমনকি রাজনৈতিক বিভিন্ন কোন্দল তৈরি হয় যা আমাদের সকলের জীবনকে প্রভাবিত করছে।
ব্যক্তিগত গোপনীয়তার অভাব
আমরা সোশ্যাল মিডিয়াতে আমাদের জীবনের অনেক কিছুই শেয়ার করি। এর ফলে অনেক সময় আমাদের ব্যক্তিগত তথ্য অন্যের হাতে চলে যাওয়ার ভয় থাকে, যা আমাদের গোপনীয়তা নষ্ট করে। সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রতিদিন জীবনে ঘটে যাওয়া সবকিছু শেয়ার করা, ঘুরতে যাওয়া, খাওয়া-দাওয়া সহ সকল তথ্য শেয়ার করার কারণে হ্যাকাররা আমাদের ব্যক্তিগত তথ্য সহজেই পেয়ে যাচ্ছে।
অন্য সংস্কৃতির প্রভাব
বিশ্বগ্রামের কারণে শক্তিশালী বা উন্নত দেশগুলোর সংস্কৃতি খুব সহজে আমাদের ওপর প্রভাব ফেলছে। এর ফলে অনেক সময় আমাদের তরুণ প্রজন্ম নিজের দেশের সংস্কৃতি ভুলে বিদেশি সংস্কৃতির দিকে ঝুঁকে পড়ে, যা আমাদের স্বকীয়তাকে হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে। অন্য সংস্কৃতিতে ঝুঁকে পড়ার কারণে দেশের প্রতি ভালোবাসা কমে যাচ্ছে, দেশ ত্যাগের ইচ্ছে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ডিজিটাল বৈষম্য

বিশ্বগ্রামের সুবিধা পেতে হলে ইন্টারনেট ও আধুনিক প্রযুক্তি লাগে। কিন্তু পৃথিবীর অনেক গরিব দেশের মানুষের কাছে এখনও স্মার্টফোন বা ইন্টারনেট পৌঁছায়নি। এর ফলে ধনী ও গরিব দেশগুলোর মধ্যে একটা ডিজিটাল বৈষম্য তৈরি হচ্ছে। এই বৈষম্যের কারণে গরিব দেশগুলো বা গরিব মানুষ তথ্য এবং উপাত্ত পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বাচ্চারা ভালো মানের পড়ালেখা করতে পারছে না, দেশের উন্নতি ধীরগতি হয়ে যাচ্ছে।
আরো পড়ুন:
- ১৫টি শিক্ষা প্রযুক্তির নাম ও ব্যবহার
- আধুনিক প্রযুক্তি কি? সবচেয়ে আধুনিক প্রযুক্তি কি
- বিকেন্দ্রীকরণ কি? বিকেন্দ্রীকরণ এর সুবিধা অসুবিধা
বিশ্বগ্রাম তৈরিতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ভূমিকা
এটা একদম পরিষ্কার যে, বিশ্বগ্রামের আইডিয়াকে বাস্তবে রূপ দিয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বা আইসিটি। আইসিটি ছাড়া গ্লোবাল ভিলেজের কথা ভাবাই যেত না। কম্পিউটার, ইন্টারনেট, মোবাইল, স্যাটেলাইট—এই সবকিছু মিলেই গ্লোবাল ভিলেজ তৈরি করেছে।
আইসিটি একদিকে যেমন দ্রুত যোগাযোগ নিশ্চিত করেছে, তেমনি তথ্যের অবাধ প্রবাহকেও সম্ভব করেছে। এক কথায়, আইসিটি হলো সেই জাদুর কাঠি, যা পুরো পৃথিবীকে একটা গ্রামের মতো করে আমাদের হাতের মুঠোয় এনে দিয়েছে।
বিশ্বগ্রাম সম্পর্কে আমাদের মতামত
বিশ্বগ্রাম এখন আর কোনো কল্পনা নয়, এটাই আমাদের বাস্তবতা। এর সুবিধাগুলো যেমন আমাদের জীবনকে সহজ করেছে, তেমনি কিছু খারাপ দিকও আমাদের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। আমাদের কাজ হলো, টেকনোলজিকে সঠিক উপায়ে ব্যবহার করে এর ভালো দিকগুলো নেওয়া এবং সমস্যাগুলো সবাই মিলে সমাধান করা।
ভবিষ্যতে বিশ্বগ্রাম হয়তো আরও উন্নত হবে, নতুন প্রযুক্তি আমাদের আরও কাছে নিয়ে আসবে। সেই ভবিষ্যতের জন্য তৈরি হতে হলে আমাদের যেমন প্রযুক্তি শিখতে হবে, তেমনি ভালো-মন্দ বিচার করার ক্ষমতা এবং মানবিক গুণগুলোও ধরে রাখতে হবে। তবেই আমরা এই বিশ্বগ্রামের একজন ভালো নাগরিক হতে পারব।