সামান্য কয়েক বছর আগেও ব্যাংকিং সেবা গ্রহণ করার জন্য আমাদের সশরীরে ব্যাংকে উপস্থিত হতে হতো। এবং যেকোনো সরকারি ছুটি বা সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন, ব্যাংক থেকে টাকা স্থানান্তর এবং টাকা ডিপোজিট রাখা কোনভাবেই সম্ভব হতো না। মোবাইল ব্যাংকিং বর্তমান সময়ের সবচেয়ে উন্নত প্রযুক্তি যা ইতোমধ্যে ইন্টারনেটের জনপ্রিয়তা আরো বেশি বাড়িয়ে তুলেছে। মোবাইল ব্যাংকিং চালু হওয়ার পর থেকে ইন্টারনেটের ব্যবহার কয়েক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
সহজ কথায় বলতে গেলে, মোবাইল এর মাধ্যমে যে ব্যাংকিং লেনদেন সম্পূর্ণ করা হয় তাকে মোবাইল ব্যাংকিং বলা হয়ে থাকে। মোবাইল বা স্মার্টফোন ব্যবহার করে ব্যাংক একাউন্ট এর ব্যালেন্স চেক করা, ফান্ড ট্রান্সফার করা, বিল পেমেন্ট করা সম্ভব মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে। আজকের আর্টিকেলে আমরা মোবাইল ব্যাংকিং কি, মোবাইল ব্যাংকিং এর সেবা, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আলোচনা করব।
মোবাইল ব্যাংকিং কি

একটি মোবাইল ডিভাইস এর মাধ্যমে যখন আর্থিক লেনদেনের সাথে জড়িত কার্যকলাপ গুলো সম্পন্ন করা যায় তখন তাকে মোবাইল ব্যাংকিং বলা হয়ে থাকে। ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে মোবাইল ব্যাংকিং সরাসরি পরিচালিত হয়ে থাকে। মোবাইল ব্যাংকিং সেবা গ্রহণ করতে হলে সঠিক ইউজার আইডি এবং পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে হয়। সঠিক ইউজার আইডি এবং পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে স্মার্ট ফোন বা ট্যাবলেট এর সাহায্যে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় আর্থিক লেনদেন পরিচালনা করা সম্ভব।
মোবাইলে অ্যাপ ইন্সটল করে মোবাইল ব্যাংকিং চালু থাকলে আপনি ঘরে বসে দেশের যে কোন অঞ্চলে টাকা পাঠাতে পারবেন, নগদ টাকা রিসিভ করতে পারবেন, মোবাইল রিচার্জ করতে পারবেন এবং যেকোনো ধরনের বিল পেমেন্ট করতে পারবেন। তবে শুধুমাত্র স্মার্ট ফোন ছাড়াও টাকা লেনদেন করার জন্য সাধারণ মোবাইল ফোন গুলো ব্যবহার করা যেতে পারে। সাধারণ মোবাইলে মেসেজ বা এসএমএস এর মাধ্যমে সহজেই এক স্থান থেকে অন্য স্থানে টাকা ট্রান্সফার করা সম্ভব।
Mobile Banking অ্যাপস কি
অন্যান্য যেসব অ্যাপস মোবাইলে ব্যবহার করা যায় ঠিক ওভাবেই মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাপস স্মার্টফোনে চালানো সম্ভব। গ্রাহক যে ব্যাংকে একাউন্ট খুলেছেন সেই ব্যাংকের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে অথবা google play store অ্যাপস থেকে সরাসরি মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাপস ডাউনলোড করা সম্ভব। ব্যাংকের যেসব সেবা প্রতিনিয়ত সরাসরি ব্যাংকের সার্ভার এর সাথে যুক্ত হয়ে থাকা ব্যাংকিং প্ল্যাটফর্মের সাহায্যে পরিচালিত হয়ে থাকে তাকে মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাপস বলা হয়ে থাকে। মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাপস এর সাহায্যে সব রকমের ব্যাংকিং কার্যক্রম নিমিষেই সম্পন্ন করা সম্ভব।
বাংলাদেশে মোবাইল ব্যাংকিং এর ইতিহাস
বাংলাদেশের সর্বপ্রথম মোবাইল ব্যাংকিং পরিষেবা চালু হয়েছে ২০১০ সাল থেকে। বাংলাদেশের সর্বপ্রথম ডাচ বাংলা ব্যাংক লিমিটেড মোবাইল ব্যাংকিং পরিষেবা চালু করে যা রকেট নামে পরিচিত। ২০১০ সালের রকেট বাজারে চালু হওয়ার পর থেকে ২০১১ সালে ব্র্যাক ব্যাংকের অঙ্গ সংগঠন হিসেবে “বিকাশ” আত্মপ্রকাশ করে। বিকাশ হল বাংলাদেশের দ্বিতীয় মোবাইল ব্যাংকিং পরিষেবা। বর্তমানে বাংলাদেশের প্রধান মোবাইল ব্যাংকিং পরিষেবা হিসেবে বিকাশ পরিচালিত হচ্ছে, যার সেবা গ্রামগঞ্জ থেকে শুরু করে যে কোন প্রত্যন্ত অঞ্চলে পাওয়া সম্ভব। পরবর্তীতে ২০১৯ সালে বাংলাদেশ ডাক বিভাগ কর্তৃক পরিচালিত অন্য একটি ব্যাংকিং পরিষেবার নাম হলো নগদ। বর্তমানে নগদের প্রায় ৪ কোটি গ্রাহক রয়েছে, যারা প্রতিনিয়ত নগদের মাধ্যমে লেনদেন পরিচালনা করছে।
আরো পড়ুন: কেন্দ্রীকরণ কি? কেন্দ্রীকরণ ও বিকেন্দ্রীকরণ পার্থক্য
মোবাইল ব্যাংকিং এর সেবা সমূহ কি কি
এক কথায় মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে সব ধরনের ব্যাংকিং সেবা পাওয়া সম্ভব। চলুন এক নজরে দেখে আসি মোবাইল ব্যাংকিং এর সেবা সমূহ কি কি:
- মেয়াদের আমানত পরীক্ষা করা যায় মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে,
- ঋণ এবং ব্যবহৃত কার্ডের সকল রকমের বিবৃতি পাওয়া যায়,
- বীমা-নীতি ব্যবস্থাপনা মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে জানা সম্ভব,
- একাউন্টের বর্তমান এবং অতীত লেনদেন সম্পর্কে ধারণা লাভ করা যায়,
- গ্রাহকের সাথে কানেক্টেড রয়েছে এমন সকল অ্যাকাউন্ট গুলোর মধ্যে অর্থ স্থানান্তর করা সম্ভব,
- মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে সকল ধরনের বিল পরিশোধ করা সম্ভব,
- যেকোনো ধরনের ঋণ প্রাপ্তির জন্য আবেদন করা সম্ভব মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে,
- যেকোনো ধরনের অভিযোগ পত্র জমা দেওয়া এবং ইমেইলের মাধ্যমে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করা সম্ভব,
- মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে রিমোট ডিপোজিট পরীক্ষা করা সম্ভব।
মোবাইল ব্যাংকিং এর সুবিধা গুলো কি কি

মোবাইল ব্যাংকিং এর অসুবিধার চেয়ে সুবিধার পরিমাণ অনেক বেশি। চলুন এক নজরে দেখে আসি মোবাইল ব্যাংকিং এর সুবিধা গুলো কি কি:
- মোবাইল ব্যাংকিং সাধারণত স্মার্টফোনের মাধ্যমে পরিচালনা করা হয়ে থাকে, তবে যে সব ফোনে ইন্টারনেট সংযোগ নেই সেসব ফোনের মাধ্যমে ও মোবাইল ব্যাংকিং পরিচালনা করা সম্ভব। এক্ষেত্রে মোবাইল ব্যাংকিং এর সুবিধার মধ্যে তারা শুধুমাত্র টাকা ট্রান্সফার, টাকা গ্রহণ এবং টাকা পাঠানো কাজগুলো এসএমএসের মাধ্যমে সম্পন্ন করতে পারবে। আর স্মার্ট ফোন এর মাধ্যমে মোবাইল ব্যাংকিং পরিচালনা করলে সকল ধরনের ব্যাংকিং পরিষেবা গুলো তারা হাতের নাগালে পাবে।
- মোবাইল ব্যাংকিং এর সর্বোচ্চ সুবিধা হল সপ্তাহে সাত দিন এবং বছরে ৩৬৫ দিন লেনদেন এবং ব্যাংকিং সুবিধাগুলো পাওয়া সম্ভব। যেকোনো ছুটির দিনেও মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে টাকা উত্তোলন, টাকা জমা রাখা এবং টাকা ট্রান্সফার করা সম্ভব।
- যারা প্রথাগত ইন্টারনেট ব্যাংকিং সেবা গ্রহণ করেন তাদের তুলনায় মোবাইল ব্যাংকিং সেবা খুব সহজে গ্রহণ করা সম্ভব। ইন্টারনেট ব্যাংকিং তুলনামূলক কঠিন এবং সাধারণ মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কোনভাবেই ইন্টারনেট ব্যাংকিং পরিচালনা করা যায় না। কিন্তু মোবাইল ব্যাংকিং সাধারণ মোবাইল ফোনে এবং স্মার্টফোনে দুইভাবেই চালানো সম্ভব এবং এখান থেকে সুরক্ষিত সেবা পাওয়া সম্ভব।
- টাকা ট্রান্সফার করার পর বা অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকার পর ব্যালেন্স চেক করার জন্য মোবাইল ব্যাংকিং অত্যন্ত কার্যকরী। আপনি যদি মোবাইল ব্যাংকিং সেবা গ্রহণ করেন তাহলে আপনাকে দৌড়ে ব্যাংকে যাওয়া লাগবে না ব্যালেন্স চেক করার জন্য। মোবাইলে একটা মেসেজের মাধ্যমে বা মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাপস এ ঢুকে খুব সহজেই ব্যালেন্স চেক করতে পারবেন।
- নিরাপত্তার দিক দিয়ে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা বেশ কার্যকর ভূমিকা পরিচালনা করে। মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাপস এ ঢোকার জন্য প্রথমত লগইন করতে হয়। তবে লগইন করার জন্য তথ্য, পাস কোড, ট্র্যাঞ্জাকশন কোড অবশ্যই সঠিক হতে হবে। আপনার মোবাইল ব্যাংকিং তথ্য সম্পর্কে অন্য কেউ যদি জেনে না থাকে তাহলে সে কোনভাবেই আপনার অ্যাপস এ প্রবেশ করতে পারবে না। ব্যাংক একাউন্ট এর মালিক যে তার কাছেই শুধুমাত্র এই মোবাইল ব্যাংকিংয়ের তথ্যগুলো থাকবে এবং সে সঠিক তথ্য বসিয়ে মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাপস এ প্রবেশ করতে পারবে, যা নিরাপত্তার দিক দিয়ে খুবই কঠোর।
- ইন্টারনেট ব্যাংকিং এর তুলনায় মোবাইল ব্যাংকিং সেবা গ্রহণ করা খুব সহজ। একবার শিখে রাখতে পারলেই আজীবন মোবাইল ব্যাংকিং সেবা গ্রহণ করা সম্ভব কোন রকম ঝামেলা ছাড়াই।
- ব্যাংকের যেসব অন্যান্য সুবিধা রয়েছে তা ভোগ করার জন্য সরাসরি আবেদন করা যায় মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে। এছাড়া ব্যাংকের সাথে জড়িত সকল ধরনের সুবিধা আপনি ঘরে বসেই পাবেন মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাপস চালু থাকলে।
- মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাপস ব্যবহার করে অনলাইনে পেমেন্ট প্রদান করা সম্ভব। একবার একাধিক স্থান থেকে পণ্য ক্রয় করে মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে আপনি ঘরে বসে পণ্য রিসিভ করতে পারবেন এবং সেই বিল আপনি মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে প্রদান করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনাকে শপিংমল ঘুরে ঘুরে পণ্য ক্রয় করার মতো সমস্যায় করতে হবে না।
- মোবাইল ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে বিভিন্ন যানবাহনের টিকিট ক্রয় করা সম্ভব। অর্থাৎ ভ্রমণে বের হওয়ার আগে বাস থেকে শুরু করে এয়ারের টিকিট পর্যন্ত আপনি মোবাইল ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে ক্রয় করতে পারেন, যা গ্রাহকদের কাছে সবচেয়ে পছন্দের।
- মোবাইল ব্যাংকিং এর আরো একটি সুবিধা হল যেকোনো ধরনের বিল যেমন পানি বিল, বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিল, মোবাইল রিচার্জ ইত্যাদি সব ধরনের লেনদেন বা বিল প্রদান করা সম্ভব।
আরো পড়ুন: বিকেন্দ্রীকরণ কি? বিকেন্দ্রীকরণ এর সুবিধা অসুবিধা
মোবাইল ব্যাংকিং এর অসুবিধা গুলো কি কি

মোবাইল ব্যাংকিং এর নানাবিধ সুবিধার কথা আমরা ইতোমধ্যে তুলে ধরেছি। তবে মোবাইল ব্যাংকিং এর কিছু অসুবিধা রয়েছে। সেগুলো হলো:
- ব্যাংকিং ডিটেলস যদি কোন খারাপ লোকের হাতে পড়ে যায় সেক্ষেত্রে টাকা হারানোর ব্যাপক সম্ভাবনা থাকে।
- কোন কারনে মোবাইল ফোন যদি হারিয়ে যায় তাহলে ব্যাংকিং ডিটেইলস অন্য কারো জেনে যাওয়া খুব একটা কঠিন বিষয় নয়।
- কারো সাথে পিন নম্বর অথবা পাসওয়ার্ড শেয়ার করলে ব্যবহারকারীর অনুপস্থিতিতে যে কেউ টাকা উত্তোলন করে নিতে পারে।
- মোবাইল ব্যাংকিং যেহেতু সম্পূর্ণরূপে ইন্টারনেট ভিত্তিক তাই যেকোনো সময় এই খরচ বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।
- মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে আপনি সারাদিন যত খুশি তত টাকা উত্তোলন করতে পারবেন না, এক্ষেত্রে একেক কোম্পানির মোবাইল ব্যাংকিং এর একেক রকমের লিমিটেশন থাকে। লিমিটেশনের বহির্ভূত এক টাকাও লেনদেন সম্ভব নয়।
- প্রতি হাজার টাকা উত্তোলনে মোবাইল ব্যাংকিং কিছু পরিমাণ টাকা চার্জ করে থাকে। এক্ষেত্রে যারা বেশি পরিমাণ টাকা উত্তোলন করে তাদের বেশ মোটা অংকের টাকা মোবাইল ব্যাংকিং এর চার্জ হিসেবে প্রদান করতে হয়।
মোবাইল ব্যাংকিং এক্টিভ করার নিয়ম
বাংলাদেশের যেসব মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাপস রয়েছে তারা প্রত্যেকেই প্রায় নিজস্ব অ্যাপ্লিকেশন অফার গুলো থাকে। মোবাইল ব্যাংকিং এক্টিভেট করার জন্য মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাপস ইন্সটল করে নিতে হবে। অ্যাপস ইনস্টল করার পর আপনার কাছে রেজিস্ট্রেশন করতে বলা হবে। মোবাইল ব্যাংকিং রেজিস্ট্রেশন করার সময় আপনার ব্যাংকের সাথে রেজিস্টার করা মোবাইল নাম্বার, এটিএম কার্ডের পাসওয়ার্ড এবং ডেবিট কার্ডের তথ্য জানতে চাওয়া হবে।
মূলত আপনার অ্যাকাউন্ট যাচাই-বাছাই করার জন্য এ তথ্যগুলো জানতে চাওয়া হয়ে থাকে। সবশেষে আপনাকে ভেরিফিকেশন কোড পাঠানো হবে এবং ভেরিফিকেশন কোড সেখানে বসানোর পর আপনার মোবাইল ব্যাংকিং পরিষেবা চালু হবে এবং তারপর থেকে আপনি দেশের যেকোন স্থানে টাকা পাঠাতে পারবেন এবং টাকা রিসিভ করতে পারবেন।
মোবাইল ব্যাংকিং এর পদ্ধতি
মোবাইল ব্যাংকিং বর্তমানে টাকা লেনদেন করার জন্য সবচেয়ে বিশ্বস্ত এবং নির্ভরযোগ্য মাধ্যম। যেকোনো জায়গায় বসে যে কোন পরিস্থিতিতে আপনি টাকা লেনদেন করতে পারবেন মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে। নিচে মোবাইল ব্যাংকিং এর পদ্ধতি তুলে ধরা হলো:
- প্রথমত মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন,
- ব্যাংক একাউন্টের সাথে মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাপসের লিংক যোগ করুন,
- একাউন্ট ক্রিয়েট করা হয়ে গেলে মোবাইল ব্যাংকিং এর যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবেন সহজেই।
মোবাইল ব্যাংকিংয়ের গুরুত্ব
মোবাইল ব্যাংকিংয়ের নানাবিধ গুরুত্বপূর্ণতা রয়েছে। মোবাইল ব্যাংকিং এর প্রধান গুরুত্ব গুলো নিচে আলোচনা করা হলো:
- সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে, অর্থাৎ যে কেউ চাইলেই মোবাইলে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা গ্রহণ করতে পারেন।
- আধুনিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার সাথে লেনদেন করা সম্ভব, অর্থাৎ টাকা পাঠানো এবং টাকা রিসিভ করার মধ্যবর্তী স্থানে পূর্ণরূপ ঝামেলা তৈরি হয় না।
- সকল ধরনের বিল এবং অনলাইন প্রোডাক্ট ক্রয়ের জন্য বিল পরিশোধ করা সম্ভব।
- সময় এবং ঝামেলা বাঁচাতে সাহায্য করে, যেহেতু খুব দ্রুততর সময়ের মধ্যে টাকা পৌঁছায় এবং এক্ষেত্রে কোনরূপ ঝামেলা হয় না, সেজন্য মোবাইল ব্যাংকিং জনগণের নিকট এখন খুবই জনপ্রিয়।
- খুব দ্রুততার সাথে লেনদেন সম্পন্ন করা সম্ভব, অর্থাৎ টাকা সেন্ড করার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই অন্য স্থানে টাকা পৌঁছে যায় মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে।
আরো পড়ুন: সরকারি ভাবে ইউরোপ যাওয়ার উপায়
মোবাইল ব্যাংকিং নিয়ে আমাদের মতামত
আধুনিক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির যুগে ইন্টারনেটের ব্যাপক প্রসারতার ফলে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা দিন দিন মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে যাচ্ছে। টাকা লেনদেনের জন্য মানুষের এখন প্রধান বিশ্বস্ত মাধ্যম হলো মোবাইল ব্যাংকিং। আজকের আর্টিকেলে আমরা মোবাইল ব্যাংকিং নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। মোবাইল ব্যাংকিং নিয়ে আর কোন প্রশ্ন থেকে থাকলে অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন এবং এরকম তথ্যবহুল আর্টিকেল পাওয়ার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন।