অনলাইন ব্যাংকিং কাকে বলে? সুবিধা, অসুবিধা ও গুরুত্ব

অনলাইন ব্যাংকিং হলো এমন একটি আর্থিক লেনদেন যা ইন্টারনেট ব্যাংকিং, ভার্চুয়াল ব্যাংকিং, হোম ব্যাংকিং নামেও পরিচিত। ব্যাংক বা অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাহায্যে ওয়েবসাইট বা মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের আর্থিক লেনদেন পরিচালনা করতে সক্ষম অনলাইন ব্যাংকিং।

ইন্টারনেটের ব্যাপক প্রসারিত আর ফলে ২০০০ দশক এর পর থেকে গ্রাহকদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট একসেস করার সবচেয়ে সাধারণ এবং জনপ্রিয় পদ্ধতি হলো অনলাইন ব্যাংকিং। বিভিন্ন শাখা ব্যাংকের উপর নির্ভরযোগ্যতা কমিয়ে এবং ব্যাংকিং শাখা গুলো বন্ধ রেখেও লেনদেন করার সহজ সুবিধা প্রদান করে অনলাইন ব্যাংকিং। অনলাইন ব্যাংকিং এর সাহায্যেই অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্স চেক, স্টেটমেন্ট চেক, রিসেন্ট লেনদেন চেক, একাউন্টের বিদ্যমান নগদ অর্থ অবস্থান থেকে আরেক স্থানে স্থানান্তরিত করা সম্ভব।

অনলাইন ব্যাংকিংয়ের সুবিধার পাশাপাশি কিছু অসুবিধা ও রয়েছে। আজকের আর্টিকেলে আমরা অনলাইন ব্যাংকিং কাকে বলে? সুবিধা, অসুবিধা ও গুরুত্ব নিয়ে বিস্তারিত তথ্য আলোচনা করব।

Table of Contents

অনলাইন ব্যাংকিং কাকে বলে

অনলাইন ব্যাংকিং কাকে বলে

ইন্টারনেটের মাধ্যমে ব্যাংকিং সেবা প্রদান এবং ব্যাংকিং সেবা গ্রহণ করাকেই অনলাইন ব্যাংকিং বলা হয়ে থাকে। আরো বিস্তারিতভাবে বলতে গেলে, কেন্দ্রীয় সার্ভারের আওতায় ব্যাংকের শাখা সমূহের মধ্যে নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে বিভিন্ন শাখায় অর্থ প্রদান এবং জমা গ্রহণ এর জন্য যে কম্পিউটারাইজ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় তাকেই অনলাইন ব্যাংকিং বলা হয়ে থাকে। 

অনলাইন ব্যাংকিং এর মাধ্যমে গ্রহীতা ঘরে বসেই যাবতীয় লেনদেন করতে পারে সশরীরে ব্যাংকে যাওয়া ছাড়াই। ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ডিজিটাল ভাবে সেবা গ্রহণ করা এখন বেশ জনপ্রিয় একটি মাধ্যম। নেট ব্যাংকিং, মোবাইল ব্যাংকিং, ইন্টারনেট ব্যাংকিং হল অনলাইন ব্যাংকিং এর বিভিন্ন নাম। অনলাইন ব্যাংকিংয়ের সবচেয়ে বড় সুবিধা হল সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও ব্যাংকিং কার্যক্রম যেমন: নগদ অর্থ স্থানান্তর, টাকা উত্তোলন, অর্থ সঞ্চয় করা সম্ভব। 

ইন্টারনেট ব্যাংকিং বা অনলাইন ব্যাংকিং এর মাধ্যমে নিজস্ব একাউন্টে প্রবেশ করার সময় প্রয়োজনীয় কিছু তথ্য যেমন: আইডি ও পাসওয়ার্ড চাওয়া হয়ে থাকে। তবে আমাদের দেশে অনলাইন ব্যাংকিং এর ক্ষেত্রে কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তবে তা কাটিয়ে উঠার জন্য বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হচ্ছে। নিচে আমরা অনলাইন ব্যাংকিং এর কিছু সুবিধা এবং অসুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আলোচনা করব।

আরো পড়ুন: মোবাইল ব্যাংকিং কি? মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সুবিধা ও অসুবিধা

অনলাইন ব্যাংকিং এর উদ্দেশ্য কি

অনলাইন ব্যাংকিং এর মূল উদ্দেশ্য হলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে ব্যাংকিং ব্যবস্থা পরিচালনা করা। ব্যাংকিং সকল সুবিধা গ্রাহক ঘরে বসে গ্রহণ করতে পারে অনলাইন ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে। টাকার পরিমান জানা, অর্থ স্থানান্তর করা, বিভিন্ন ধরনের বিলের পেমেন্ট করা ইত্যাদি ঘরে বসেই জানা সম্ভব অনলাইন ব্যাংকিং এর মাধ্যমে। ইন্টারনেট ব্যাংকিং এর জন্য মোবাইলে একটি অ্যাপস ইন্সটল করতে হবে যেখানে অবশ্যই ইন্টারনেটের অ্যাক্সেস থাকতে হবে। অনলাইন ব্যাংকিং এর মাধ্যমে সেবা গ্রহণের জন্য গ্রাহকরা ব্যাংক থেকে দেওয়া USSD কোড, টেলিব্যাঙ্কিং এবং ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডের সেবক গ্রহণ করতে পারে।

অনলাইন ব্যাংকিং এর সুবিধা কি কি

অনলাইন ব্যাংকিং কাকে বলে

অনলাইন ব্যাংকিং এর কিছুটা অসুবিধা থাকলেও সুবিধা গুলো চোখে পড়ার মতো। অনলাইন ব্যাংকিং এর বিভিন্ন সুবিধা গুলো বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হলো: 

১. লেনদেনের স্বচ্ছতা 

অনলাইন ব্যাংকিং এর মাধ্যমে লেনদেনের স্বচ্ছতা বজায় থাকে। অর্থাৎ আপনি আপনার একাউন্ট থেকে কোথাও টাকা ট্রান্সফার করলে সাথে সাথে তা মেসেজ এর মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হয়। বেশিরভাগ লেনদেনের স্বচ্ছতা কয়েক মিনিটের মধ্যেই নাম্বারে পাঠিয়ে দেওয়া হয় বলে শাখা ব্যাংকিং এর তুলনায় অনলাইন ব্যাংকিং পদ্ধতিতে লেনদেনে স্বচ্ছতা বজায় থাকে বলে ধারণা করা হয়।

২. ২৪ ঘন্টা সার্ভিস 

বাংলাদেশের প্রত্যেকটি ব্যাংক শুক্রবার এবং শনিবার বন্ধ থাকে। ব্যাংকের কোন গুরুত্বপূর্ণ কাজ থাকলেও এই দুইদিনে তা করা সম্ভব হয় না। কিন্তু অনলাইন ব্যাংকিং পদ্ধতিতে আপনি ২৪ ঘন্টা ব্যাংকিং সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। এবং সবথেকে চমকপ্রদ ব্যাপার হল এখানে সপ্তাহে সাত দিন আপনি লেনদেন, টাকা উত্তোলন, টাকা জমা রাখা ইত্যাদি কাজ করতে পারবেন।

৩. অনলাইন ব্যাংকিং পেমেন্ট 

অনলাইন ব্যাংকিংয়ের সবচেয়ে বড় সুবিধা হল এ পদ্ধতিতে ঘরে বসে বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিল, ওয়াইফাই বিল, মোবাইল রিচার্জ করা সম্ভব। আপনার একাউন্টে যদি নগদ অর্থ থাকে তাহলে যেকোনো বিল পরিশোধ করার সময় একাউন্টে লগইন করে সেন্ড করলেই বিল পরিশোধ হয়ে যাবে। অনলাইন ব্যাংকিং এর সবচেয়ে বড় সুবিধা গুলোর মধ্যে অনলাইন ব্যাংকিং পেমেন্ট সিস্টেম সবচেয়ে জনপ্রিয় লেনদেন ব্যবস্থা।

৪. সহজ লেনদেন ব্যবস্থা 

দেশ এবং বিদেশে যেকোনো জায়গায় টাকা পাঠানো এবং সেখান থেকে টাকা গ্রহণ করার মত সহজ লেনদেন ব্যবস্থা অনলাইন ব্যাংকিং পদ্ধতিতেই সম্ভব। হাতে সময় অল্প থাকলে বা ব্যাংক দূরে থাকলে সব সময় ব্যাংকে গিয়ে লেনদেন করা সম্ভব হয় না। সেক্ষেত্রে হঠাৎ টাকা পাঠানো বা টাকার প্রয়োজন হলে নিজের একাউন্টের স্থানান্তরিত করার সবথেকে সহজ মাধ্যম হলো অনলাইন ব্যাংকিং।

৫. একই জায়গায় বিভিন্ন সেবা 

শুধুমাত্র টাকা পাঠানো নয়, বরং বিল পরিশোধ, লোন গ্রহণ করা, ইন্সুরেন্স ক্রয় করার কাজেও অনলাইন ব্যাংকিং ব্যবহার করা হয়ে থাকে। অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে একই সাথে অনেকগুলো সেবা গ্রহণ করা যায় বলে মানুষ এখন অনলাইন ব্যাংকিং এর প্রতি ঝুকে পড়ছে।

৬. নিরাপদ লেনদেন ব্যবস্থা 

অনলাইন ব্যাংকিং ব্যবস্থায় রয়েছে উচ্চ নিরাপত্তা। ব্যাংকিং পাসওয়ার্ড কারো সাথে শেয়ার না করলে এখানে টাকা এদিক ওদিক হওয়ার কোন সুযোগ নেই। তবে আপনি যদি অনলাইন ব্যাংকিং ব্যবস্থা পরিচালনার জন্য মোবাইলে অ্যাপ ডাউনলোড করে থাকেন তবে সে ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত পর্যায়ে আপনাকে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হতে পারে।

৭. সময় ও শ্রম সাশ্রয় 

কিছুদিন আগেও ব্যাংক একাউন্ট চেক করার জন্য ব্যাংকে দেওয়া লাগতো। কিন্তু এখন ঘরে বসেই ব্যাংক একাউন্ট চেক করা সম্ভব অনলাইন ব্যাংকিং পদ্ধতির মাধ্যমে। ব্যাংকে যাওয়ার ঝামেলা ছাড়াই আপনি যেকোনো ধরনের বিল পরিশোধ, অর্থ ট্রান্সফার করতে পারবেন। এতে করে আপনার সময় এবং পরিশ্রম দুটোই সাশ্রয় হবে। সময় এবং শ্রম সাশ্রয় হয় বলেই অনলাইন ব্যাংকিং এর জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়ে চলেছে।

৮. ফান্ড ট্রান্সফার এর সুবিধা 

হঠাৎ করে কোথাও টাকা পাঠানোর দরকার হলে, বা আপনার একাউন্টে টাকার প্রয়োজন হলে যখন তখন ফান্ড ট্রান্সফার এর সুবিধা প্রদান করা অনলাইন ব্যাংকিং। এতে করে ব্যাংকে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না এবং মোবাইলের মাধ্যমে যখন তখন এই অর্থ উত্তোলন করা সম্ভব।

৯. ঘরে বসে ব্যালেন্স চেক 

ব্যাংক থেকে হঠাৎ করে টাকা উত্তোলন করলে বা টাকা ট্রান্সফার করার পর ঘরে বসে নিজের একাউন্টের ব্যালেন্স চেক করা সম্ভব অনলাইন ব্যাংকিং এর মাধ্যমে। ব্যাংকিং ব্যবস্থায় ঘরে বসে ব্যালেন্স চেক মানুষের ভোগান্তি অনেকটা কমিয়ে এনেছে বলে আমাদের বিশ্বাস।

১০. জাল মুদ্রার নিরাপত্তা 

সরাসরি লেনদেন ব্যবস্থায় ঝাল মুদ্রার ব্যাপক প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। কিন্তু অনলাইন ব্যাংকিং ব্যবস্থায় জাল মুদ্রা লেনদেন হওয়ার কোন রূপ সম্ভাবনা থাকে না। নিরাপত্তার দিক দিয়ে চিন্তা-ভাবনা করলে জাল মুদ্রার প্রভাব এড়িয়ে চলার জন্য অনলাইন ব্যাংকিং ব্যবস্থা বেশ কার্যকরী।

১১. ঝুঁকিমুক্ত লেনদেন 

কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান রয়েছে যাদের প্রতিনিয়ত বড় অংকের টাকা লেনদেন করতে হয়। এক্ষেত্রে ব্যাংকে গিয়ে টাকা উত্তোলন করা তাদের জন্য বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। টাকা হারিয়ে যাওয়া এবং জীবনের নিরাপত্তা জনিত সমস্যার কারণে এখন এসব ব্যবসায়ীরা ঝুঁকিমুক্ত লেনদেন পদ্ধতি বেছে নিচ্ছে। লেনদেনের ঝুকি উড়ানোর জন্য অনলাইন ব্যাংকিং ব্যবস্থার কোন বিকল্প নেই। এতে করে বড় অংকের টাকা নিয়ে চলাচল করা লাগেনা এবং বেশ নিরাপদ ভাবে চলাচল করা সম্ভব।

উপরিউক্ত সুবিধাগুলো ছাড়াও অনলাইন ব্যাংকিং এর আরো কিছু সুবিধা রয়েছে। সেগুলো হল: 

  • আন্ত শাখা ও আন্ত ব্যাংক লেনদেনের সমন্বয়গুলোকে সহজ করে তোলে। 
  • ইলেকট্রনিক ফান্ড এন্ড ইলেকট্রনিক্স মানি ব্যবহারের ফলে ব্যবসায়ীরা সবচেয়ে বেশি উপকৃত হয়ে থাকেন।
  • অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন ডিপোজিট স্কিম খোলা যায়।
  • অনলাইন ব্যাংকিং এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে লেনদেন সম্পন্ন করা সম্ভব।
  • অনলাইন ব্যাংকিং এর ফলে ব্যাংকের সেবার মান উন্নত হওয়ার পাশাপাশি গ্রাহকের অযথা হয়রানি বন্ধ হয়।
  • অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে চেক বইয়ের জন্য আবেদন করা সম্ভব। 

আরো পড়ুন: বিকেন্দ্রীকরণ কি‌? বিকেন্দ্রীকরণ এর সুবিধা অসুবিধা

অনলাইন ব্যাংকিং এর অসুবিধা কি কি

অনলাইন ব্যাংকিং কাকে বলে

অনলাইন ব্যাংকিং এর বিভিন্ন সুবিধা সম্পর্কে আমরা ইতোমধ্যে আলোচনা করেছি। নিচে অনলাইন ব্যাংকিং এর অসুবিধা গুলো তুলে ধরা হলো।

১। প্রযুক্তিগত সমস্যা 

যেহেতু অনলাইন ব্যাংকিং ব্যবস্থা অনলাইন ভিত্তিক তাই ইন্টারনেটে যেকোনো ধরনের সমস্যা হলে ব্যাংকিং ব্যবস্থা অকার্যকর হয়ে পড়ে। অনলাইন ব্যাংকিং এর অন্যতম অসুবিধা গুলো হলো ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়া, ব্যক্তিগত তথ্য চুরির ঝুঁকি, ওয়েবসাইট ক্রাশ হওয়া ইত্যাদি। ইন্টারনেটের নিরাবচ্ছিন্ন ব্যবস্থা না থাকলে অনলাইন ব্যাংকিং ব্যবস্থা বেশ কষ্টদায়ক হয়ে ওঠে।

২। ব্যক্তিগত তথ্য চুরি 

অনলাইন ব্যাংকিং পরিস্থিতিতে ব্যক্তিগত তথ্য চুরি হওয়ার এক বিরাট সম্ভাবনা থাকে। লেনদেন করার সময় আপনার ব্যক্তিগত পাসওয়ার্ড অন্য কেউ জেনে যাওয়া, ক্রেডিট কার্ডের নম্বর চুরি হয় ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের সমস্যা প্রতিনিয়ত ঘটতে দেখা যায়। তাই অনলাইন ব্যাংকিং পদ্ধতিতে ব্যক্তিগত তথ্য চুরির হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরী।

৩। প্রযুক্তিগত জ্ঞান এর অভাব 

প্রযুক্তির প্রভাবের কারণে ইতিবাচক এবং নেতিবাচক দুই ধরনের প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। প্রযুক্তিগত জ্ঞানের যদি অভাব থাকে তাহলে ইন্টারনেট ব্যাংকিং তাদের জন্য নয়। ইন্টারনেট ব্যাংকিং ব্যবস্থা সর্বদা প্রযুক্তিগত জ্ঞান ব্যবহার করার প্রয়োজন হয়। প্রযুক্তিগত জ্ঞান ব্যতীত অনলাইন ব্যাংকিং ব্যবস্থায় আপনার তথ্য চুরি হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা থেকে যায়।

৪। প্রতারণার শিকার হওয়ার সম্ভাবনা 

অনলাইন ব্যাংকিং ব্যবস্থায় প্রতিনিয়ত প্রতারণার শিকার হওয়া গ্রাহকের সংখ্যা নেহাত কম নয়। অনলাইন ফিশিং বা প্রতারণার ফাঁদে পড়ে ব্যাংকের যাবতীয় নগদ অর্থ হারিয়ে ফেলার সম্ভবনা থাকে। তাই অনলাইন ব্যাংকিং ব্যবস্থা পরিচালনার জন্য কিছুটা প্রযুক্তিগত জ্ঞান আয়ত্ত করে নেওয়া জরুরী। ‌

৫। সাইবার হামলার ঝুঁকি 

অনলাইন ব্যাংকিংয়ে সাইবার হামলার সমূহ সম্ভাবনা থাকে। অনলাইন ব্যাংকিং পরিচালনার সময় হঠাৎ করে সাইবার হামলার ঝুঁকির সম্মুখীন হতে পারেন। এবং সাইবার হামলার সম্মুখীন হলে আপনি আপনার অ্যাকাউন্টের সকল অর্থ হারিয়ে ফেলতে পারেন।

৬। মানসিক চাপ 

অনলাইন ব্যাংকিং এর যেহেতু বেশ কিছু অসুবিধা রয়েছে সেতু এটা অবশ্যই একটা চিন্তার বিষয়। অনেকেই অনলাইন ব্যাংকিং সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের চিন্তাভাবনা করতে করতে মানসিক চাপে বুকে থাকেন যা পরবর্তীতে অসুস্থতার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

আরো পড়ুন: সরকারি ভাবে ইউরোপ যাওয়ার উপায়

অনলাইন ব্যাংকিং নিরাপদ করার জন্য কিছু কৌশল

অনলাইন ব্যাংকিংয়ের যেহেতু বিভিন্ন ধরনের ঝুঁকি রয়েছে তাই অনলাইন ব্যাংকিং ব্যবস্থা নিরাপদ করার জন্য কয়েকটি পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন‌। পদ্ধতি গুলো হল: 

  • একটি শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন, এবং ইউনিক পাসওয়ার্ড ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। 
  • নিরাপদ একটি ওয়েবসাইট ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। 
  • ডিভাইস সর্বদা আপডেট করার চেষ্টা করুন। 
  • কোন ধরনের সন্দেহ হলে ব্যাংকের সাথে যোগাযোগ না করে কোনরূপ লেনদেন করবেন না। 
  • পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহার করা এড়িয়ে চলুন।

আরো পড়ুন: কেন্দ্রীকরণ কি? কেন্দ্রীকরণ ও বিকেন্দ্রীকরণ পার্থক্য

অনলাইন ব্যাংকিং পদ্ধতি সম্পর্কে আমাদের মতামত 

তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়নকালে অনলাইন ব্যাংকিং বর্তমান ব্যাংকিং ব্যবস্থায় এক অনন্য মাত্র যোগ করেছে যে কোন সন্দেহ নেই। যাদের ব্যাংকে একাউন্ট রয়েছে তারা প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে অনলাইন ব্যাংকিং এর প্রতি নির্ভরশীল। আজকের আর্টিকেলে আমরা অনলাইন ব্যাংকিং কাকে বলে? সুবিধা, অসুবিধা ও গুরুত্ব সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। অনলাইন ব্যাংকিং সম্পর্কে যাদের বিভিন্ন জিজ্ঞাসা ছিল আজকের আর্টিকেলটি তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হবে বলে আশা করছি। সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি জুড়ে আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

Leave a Comment