সরকারি ভাবে ইউরোপ যাওয়ার উপায়

শিক্ষা, কাজ, গবেষণা এবং পর্যটন এর জন্য বিভিন্ন দেশের মানুষের কাছে ইউরোপ একটি জনপ্রিয় গন্তব্য। পৃথিবীর সর্বস্তরের মানুষ ইউরোপে যেতে চায় কারণ ইউরোপের শেনজেনভুক্ত একটি দেশের ভিসা পেলে ২৭টি দেশে বিনা ভিসায় ভ্রমণ করা যাবে। তাছাড়া ইউরোপের সবগুলো দেশ এর জীবনযাত্রার মান অন্যান্য মহাদেশের চেয়ে বেশ ভালো। আবার ইউরোপের বিভিন্ন দেশ সহজেই স্টুডেন্ট ভিসা এবং ভিজিট ভিসা প্রদান করে থাকে যার কারণে ইউরোপ মানুষের প্রথম পছন্দ। ইউরোপ অনেকের স্বপ্নের দেশ হলেও এখানে পৌঁছানোর জন্য বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা পাড়ি দিতে হয়। 

তবে হ্যাঁ, বাংলাদেশ সরকার ইউরোপ যাওয়ার জন্য বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা প্রদান করে থাকে। তবে সরকারিভাবে ইউরোপ যাওয়ার জন্য কিছু কৌশল রয়েছে যা জানতে হয় এবং বিভিন্ন তথ্য সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকতে হয়। আজকের নিবন্ধে আমরা সরকারি ভাবে ইউরোপ যাওয়ার উপায় সম্পর্কে খুঁটিনাটি আলোচনা করব। সম্পূর্ণ আর্টিকেল জুড়ে সাথে থাকার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।

বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ যাওয়ার নিয়ম

বাংলাদেশ থেকে ইউরোপে শিক্ষার্থী, কর্মী পাঠানোর জন্য সরকারি প্রোগ্রাম গুলি কাজ করে থাকে। সরকারিভাবে বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ যেতে হলে আপনাকে প্রথমে জেনে নিতে হবে সরকারি প্রোগ্রামের মাধ্যমে আপনি বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ যাওয়ার জন্য উপযুক্ত কিনা। প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে ইউরোপে শিক্ষার্থী, কর্মী নেওয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকার সরকারি স্কলারশিপ, ভিসা, কিংবা চাকরির প্রোগ্রাম চালু করে থাকে, এটি অবশ্যই আপনার জন্য বেশ উপকারী হতে পারে। চলুন দেখে আসি কোন কোন ভিসার মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ যাওয়া যায়: 

  • শিক্ষা ভিসা, 
  • কর্মসংস্থান ভিসা, 
  • গবেষণা স্কলারশিপ, 
  • ভ্রমণ ভিসা, 
  • ট্রান্সফার প্রোগ্রাম, 

১. শিক্ষা ভিসার মাধ্যমে ইউরোপ যাওয়ার উপায় 

সরকারি ভাবে ইউরোপ যাওয়ার উপায়

ইউরোপের বিভিন্ন দেশ আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ শিক্ষা ভিসার ব্যবস্থা করে। যারা ইউরোপে পড়াশোনা করতে যেতে চান তাদের জন্য শিক্ষা ভিসা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি মাধ্যম। প্রতি বছর শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ সুযোগ-সুবিধা প্রদান করে থাকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (EU)। এতে করে আন্তর্জাতিকভাবে বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীরা ইউরোপের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহজেই ভর্তি হতে পারে।

ইউরোপের শিক্ষা ভিসার জন্য কিভাবে আবেদন করবেন? 

ইউরোপের শিক্ষা ভিসার জন্য আবেদন করতে হলে প্রথমত আপনাকে মনস্থির করতে হবে আপনি কোন বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হতে চাচ্ছেন। এরপর সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি সংক্রান্ত সকল ধরনের তথ্য ও সংগ্রহ করতে হবে এবং তারপর সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। পরবর্তীতে বৈধ সকল নিয়ম মেনে আপনাকে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হতে হবে এবং ভর্তি হওয়ার পর ইউরোপীয় দেশটির ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। আপনি যে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য আবেদন করেছেন সেখানকার স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে এবং সব নিয়ম কানুন ঠিক থাকলে তারা আপনাকে স্টুডেন্ট ভিসা প্রদান করবে।

আরো পড়ুন: কেন্দ্রীকরণ কি? কেন্দ্রীকরণ ও বিকেন্দ্রীকরণ পার্থক্য

২. গবেষণা স্কলারশিপ এর মাধ্যমে ইউরোপ যাওয়ার উপায়

সরকারি ভাবে ইউরোপ যাওয়ার উপায়

যারা গবেষণা করতে পছন্দ করেন তাদের জন্য ইউরোপ হতে পারে প্রথম পছন্দের। ইউরোপের অনেক দেশের সরকারের পক্ষ থেকে প্রতি বছর বিপুল পরিমাণে গবেষণা স্কলারশিপ ভিসা প্রদান করা হয়ে থাকে। আপনি যে বিষয়ে গবেষণা করতে আগ্রহী সে বিষয়ে ইউরোপের বিভিন্ন গবেষণা প্রকল্পে অংশগ্রহণ করতে পারেন এবং আপনি আপনার পছন্দমত যে কোন বড় বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার জন্য কাজ করতে পারেন যা আপনার ক্যারিয়ারের জন্য অন্যতম ফলপ্রসূ হতে পারে।

গবেষণা স্কলারশিপ এর জন্য কিভাবে আবেদন করবেন?

প্রথমত আপনি যে বিষয়ে গবেষণা করতে আগ্রহী সে বিষয়ে ইউরোপের কোন কোন দেশ গবেষণার জন্য স্কলারশিপ প্রদান করছে সে বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করুন। কিছু নামিদামি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে যারা প্রতিবছর বিপুল পরিমাণে গবেষণা স্কলার্শিপ এর জন্য আবেদন গ্রহণ করে থাকে। 

আপনি আপনার পছন্দমত বিশ্ববিদ্যালয় বা গবেষণা ইনস্টিটিউট বাছাই করে আবেদনপত্র জমা দিন। আবেদন পত্র জমা দেওয়ার সময় আপনার পূর্ববর্তী কাজের এক্সপেরিয়েন্স এবং আপনার নিজ দেশে দক্ষতার ক্ষেত্রে আপনার মূল্যায়ন কতটুকু তা নির্ধারণ করে তাদেরকে আবেদনপত্রের সাথে জমা দিন। আপনার পূর্ববর্তী কাজের এক্সপেরিয়েন্স যত বেশি হবে তত বেশি আপনার ইউরোপের গবেষণা স্কলারশিপ ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়তে থাকবে।

৩. কর্মসংস্থান ভিসার মাধ্যমে ইউরোপ যাওয়ার উপায়

সরকারি ভাবে ইউরোপ যাওয়ার উপায়

যারা ইউরোপে কাজের জন্য যেতে চান তাদেরকে অবশ্যই কর্মসংস্থান ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। ইউরোপ প্রতিবছর আন্তর্জাতিকভাবে বেশ কিছু কর্মী নিয়ে থাকে এবং এই কর্মী নেওয়ার জন্য তারা প্রতিবছর বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রাম চালু করে থাকে। যদি আপনি সরকারিভাবে ইউরোপে কাজের সুযোগ পেতে চান তাহলে অবশ্যই এসব প্রোগ্রামগুলোতে এপ্লাই করতে হবে। এছাড়াও ইউরোপের কিছু দেশে প্রতিবছর শর্ট-টার্ম ওয়ার্ক ভিসা এবং হায়ারিং স্কিম এর মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের কর্মী নিয়োগ প্রদান করা হয়। আপনি যদি তাদের ক্রাইটেরিয়া অনুযায়ী দক্ষ হন তাহলে এভাবেও এপ্লাই করে কর্মসংস্থান ভিসার মাধ্যমে ইউরোপ যেতে পারেন।

কর্মসংস্থান ভিসার জন্য কিভাবে আবেদন করবেন?

ইউরোপ বিভিন্ন পদে কাজের জন্য বিভিন্ন ধরনের অফার প্রদান করে থাকে। আপনাকে প্রথমত এই ধরনের অফার গুলোতে এপ্লাই করতে হবে এবং এর জন্য বিভিন্ন আন্তর্জাতিক নিয়োগ প্রতিষ্ঠান এবং ইউরোপীয় দেশের চাকরির পোর্টালে আবেদন করতে পারবেন। 

পরবর্তীতে ইউরোপের যে কোন দেশে আপনি যদি কাজের সন্ধান পান তাহলে আপনি কর্মসংস্থান ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে কর্মসংস্থানের জন্য ভিসার আবেদন বেশ সময় সাপেক্ষ এবং নিয়ম নীতি মেনে করতে হয়। তবে আপনি যে কাজের জন্য এপ্লাই করছেন সে কাজে যদি পুরোপুরি ভাবে পারদর্শী না থাকেন তাহলে ইউরোপের যে কোন দেশ থেকে আপনি সরাসরি রিজেক্ট হতে পারেন।

৪. ভ্রমণ ভিসার মাধ্যমে ইউরোপ যাওয়ার উপায়

সরকারি ভাবে ইউরোপ যাওয়ার উপায়

প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ টুরিস্ট ভ্রমণ বিষয়ের মাধ্যমে ইউরোপ ঘুরে বেড়ান। যারা শুধুমাত্র ঘুরে বেড়ানোর জন্য ইউরোপের যেকোনো দেশে যেতে চান তাদের জন্য ভিসা পাওয়া খুব বেশি কঠিন নয়। ভ্রমণ ভিসা বা শেনজেন ভিসা থাকলে আপনি একাধিক ইউরোপীয় দেশে ভ্রমণ করে বেড়াতে পারবেন। এই এক ভিসার মাধ্যমে আপনি ২৬ টি দেশ ভ্রমণ করতে পারেন। যেহেতু একটি ভিসার মাধ্যমে অনেকগুলো দেশ ভ্রমণ করা যায় তাই বিশ্বের সর্বশ্রেণীর পর্যটকদের জন্য ভ্রমণ ভিসা খুবই জনপ্রিয়। 

ভ্রমণ ভিসার জন্য কিভাবে আবেদন করবেন?

ভ্রমণ ভিসার জন্য আবেদন প্রক্রিয়া বেশ সহজ। ভ্রমণ ভিসার জন্য আবেদন করতে হলে প্রথমত আপনাকে ভিসায় উল্লেখ করতে হবে, আপনি কেন ভ্রমণে যেতে চাচ্ছেন। তবে ইউরোপের শেনজেন অঞ্চলভুক্ত দেশে যদি যেতে চান তাহলে আপনাকে পৃথকভাবে সংশ্লিষ্ট দেশটির ভিসার জন্য আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।

৫. ট্রান্সফার প্রোগ্রাম এর মাধ্যমে ইউরোপ যাওয়ার উপায় 

যারা ইউরোপের কোন দেশে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে চান তাদের জন্য ট্রান্সফার প্রোগ্রাম খুবই ফলপ্রসু একটা প্রোগ্রাম। যারা দীর্ঘমেয়াদী কাজের জন্য ইউরোপ আসতে চান বা স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য ইউরও বসতে চান তারা ট্রান্সফার প্রোগ্রাম কাজে লাগাতে পারেন। ইউরোপের দেশগুলোতে নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য অন্যতম মাধ্যম হলো ট্রান্সফার প্রোগ্রাম। 

ট্রান্সফার প্রোগ্রামের জন্য কিভাবে আবেদন করবেন? 

হাতেগোনা ইউরোপের কয়েকটি দেশ প্রতিবছর নির্দিষ্ট স্কিমের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক নাগরিকদের সংগ্রহ করে থাকে। যে পোস্টে তাদের আন্তর্জাতিক নাগরিক প্রয়োজন তারা নাগরিকদের সংগ্রহ করার জন্য বেশ কিছু স্কিমের আয়োজন করে, এবং এখানে আবেদন করে তারা যে কাজের জন্য লোক নিতে ইচ্ছুক সেখানে এপ্লাই করে সরাসরি ট্রান্সফার প্রোগ্রাম এর মাধ্যমে ইউরোপ যেতে পারেন। তবে, ইউরোপে ট্রান্সফার প্রোগ্রামের জন্য আবেদন করার সময় আপনার চাকরির প্রয়োজনীয়তা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করে দিতে হবে। এবং পরিপূর্ণভাবে জীবন যাপনের পরিস্থিতি সম্পর্কে তাদেরকে বিস্তারিত ধারণা প্রদান করতে হবে। সবকিছু মিলিয়ে যদি তারা সঙ্গত মনে করে তাহলে তারা আপনাকে ট্রান্সফার প্রোগ্রামের জন্য ভিসা প্রদান করতে আগ্রহ দেখাবে।

কম খরচে ইউরোপের কোন দেশে যাওয়া যায়

সরকারি ভাবে ইউরোপ যাওয়ার উপায়

ইউরোপের কিছু কিছু দেশ রয়েছে যেখানে বাঙালিরা বেশ কম খরচে ঘুরে আসতে পারেন। চলুন এক নজরে দেখে আসি কম খরচে ইউরোপে যেসব দেশ ঘুরে আসা সম্ভব: 

১. পোল্যান্ড

পোল্যান্ডের ভিসা হাতে পেয়ে আপনাকে পোল্যান্ড পৌঁছানোর জন্য সর্বমোট খরচ হতে পারে ৬ লক্ষ থেকে ৮ লক্ষ টাকা। এখানকার ভিসা পাওয়া তুলনামূলক সহজলভ্য এবং জীবনযাত্রার ক্ষেত্রে খরচ ও তুলনামূলক কম।

২. হাঙ্গেরি

হাঙ্গেরির ভিসা হাতে পাওয়ার জন্য আপনাকে সব মিলিয়ে খরচ করতে হতে পারে ছয় থেকে আট লক্ষ টাকা। হাঙ্গেরি বুদাপেস্টের জন্য জনপ্রিয় এবং ভিসা পাওয়ার তুলনামূলক সহজ, তাছাড়া এখানে জীবনযাত্রার মান ও বেশ ভালো। 

৩. চেক প্রজাতন্ত্র

‍ চেক প্রজাতন্ত্র এর ভিসা হাতে পাওয়ার জন্য আপনার খরচ হবে ছয় থেকে সাত লক্ষ টাকা। মানুষ এখানকার ভিসা সংগ্রহ করতে চাই কারণ প্রাগ শহরের সৌন্দর্য সবাইকে আকৃষ্ট করে।

৪. রোমানিয়া

রোমানিয়ার ভিসা হাতে পেয়ে সেখানে পৌঁছানো পর্যন্ত আপনার খরচ হতে পারে ছয় থেকে সাত লক্ষ টাকা। মানুষ রোমানিয়ায় স্থায়ী বসবাসের জন্য আবেদন করে থাকে কারণ এর প্রাকৃতিক দৃশ্য যে কোন সুন্দর দেশকে হার মানায়। তাছাড়া এখানে ভিসা প্রাপ্তির সুযোগও বেশ ভালো।

৫. বুলগেরিয়া

বুলগেরিয়া যাওয়ার জন্য খরচ হতে পারে পাঁচ থেকে সাত লক্ষ টাকা। এখানকার ভিসা পাওয়া বেশ সুবিধা জনক। তাছাড়া দেশটি সাগর পাড়ে অবস্থিত হওয়ায় বুলগেরিয়া পাহাড়ি এলাকা নামে পরিচিত। বুলগেরিয়ার ভিসা প্রাপ্তি ও তুলনামূলক সহজ।

ইউরোপের উচ্চ ব্যয়ের দেশগুলো হলো যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, স্পেন, নেদারল্যান্ড এবং ডেনমার্ক। এই দেশগুলোতে ভিসা প্রাপ্তির মাধ্যমে সেখানে পৌঁছানো পর্যন্ত আপনার খরচ হতে পারে ৮ থেকে ৯ লক্ষ টাকা। ইউরোপের মধ্যম ব্যয়ের দেশগুলো হলো: অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, চেক প্রজাতন্ত্র, ফিনল্যান্ড, আইরিশ, সুইজারল্যান্ড। এবং নিম্ন ব্যয়ের দেশগুলো হলো: স্লোভাকিয়া, স্লোভেনিয়া, বুলগেরিয়া, ক্রোয়েশিয়া, পোল্যান্ড।

আরো পড়ুন: বিকেন্দ্রীকরণ কি‌? বিকেন্দ্রীকরণ এর সুবিধা অসুবিধা

সরকারি ভাবে ইউরোপ যাওয়ার উপায় ২০২৫

সরকারিভাবে ইউরোপ যাওয়ার জন্য আপনাকেও কয়েকটি ধাপ ধীরে ধীরে অতিক্রম করতে হবে। প্রথমত আপনাকে ভিসার জন্য আবেদন করে সেই আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। ইউরোপের যে কোন দেশের ভিসার জন্য আবেদন করতে আপনার পাসপোর্ট, ভিসা আবেদন ফর্ম, ছবি, ব্যাংক স্টেটমেন্ট, ফ্লাইট টিকিট এবং স্বাস্থ্য বীমা লাগবে। ভিসা কনফার্ম হয়ে গেলে পরবর্তীতে আপনাকে ফ্লাইট বুকিং এর জন্য আবেদন করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সরাসরি ট্রানজিটের মাধ্যমে ইউরোপে যেতে পারবেন। 

ইউরোপে যদি আপনি ভ্রমণ ভিসার জন্য যেতে চান তাহলে স্বাস্থ্য বীমা গ্রহণ করা বাধ্যতামূলক। এছাড়া ইউরোপে গিয়ে বসবাসের জন্য অবশ্যই আপনাকে প্রথমত হোটেল বা এয়ারবিএনবি নির্ধারণ করতে হবে। তবে আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে ইউরোপের যে কোন দেশে ভ্রমণে বের হন তাহলে অবশ্যই সেখানকার কিছু সংস্কৃতি এবং ভাষা সম্পর্কে টুকিটাকি ধারণা থাকতে হবে। চলুন এক নজরে দেখে আসি ইউরোপে যাওয়ার জন্য আপনাকে কোন কোন পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে: 

  • পাসপোর্ট, ভিসা আবেদন ফর্ম, ছবি, ব্যাংক স্টেটমেন্ট, ফ্লাইট টিকিট, স্বাস্থ্য বীমা ইত্যাদির প্রয়োজন হবে। 
  • ফ্লাইটের দাম এবং সময়ের উপর সুবিস্তিত ধারণা রাখার চেষ্টা করুন।
  • ইউরোপে পৌঁছানোর সাথে সাথে আপনাকে আবাসন ব্যবস্থা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে। 
  • ভ্রমণ বিষয় যেতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে স্বাস্থ্য বীমা নিশ্চিত করতে হবে। 
  • ইউরোপের যে কোন দেশে যাওয়ার জন্য স্বাস্থ্য বীমা যদি করেন তাহলে বীমা পলিসি গ্রহণ করতে হবে।
  • ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বহুল ব্যবহৃত হয় এমন সাধারণ কিছু বাক্য শিখে নিতে পারেন। 
  • ইউরোপের কোন কোন জায়গা গুলো আপনি ঘুরে দেখতে চান তা আগে থেকে নির্ধারণ করুন। 
  • ইউরোপের স্থানীয় পরিবহন ব্যবস্থার সাথে মোটামুটি পরিচিত হওয়ার চেষ্টা করুন।

ইউরোপ যাওয়া সম্পর্কে আমাদের মতামত

প্রতিবছর সরকারিভাবে যে প্রোগ্রামগুলো চালু করা হয় সে প্রোগ্রাম এর উপর আস্থা রেখে এবং নিজেকে তার যোগ্য করে গড়ে তুলে অবশ্যই সরকারিভাবে ইউরোপ পৌঁছানো সম্ভব।। আজকের আর্টিকেলে আমরা সরকারিভাবে ইউরোপ যাওয়ার উপায় এবং বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ যাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আর্টিকেলটি যদি আপনাদের কাছে তথ্যবহুল মনে হয় অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। এবং সর্বদা এমন তথ্যসমৃদ্ধ আর্টিকেল পাওয়ার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন।

Leave a Comment